স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত ভুক্তির ক্ষেত্রে কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল?
ভূমিকা :
১৯৪৭ খ্রিঃ স্বাধীনতা লাভের প্রাক মুহূর্তে ভারতে প্রায় ৫৬২টি দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। দেশীয় রাজারাই ছিলেন এর শাসক। এর পাশাপাশি পোর্তুগাল ও ফ্রান্সের অধীনে ছিল কয়েকটি উপনিবেশ। স্বাধীনতার পর এগুলি ভারতীয় ডোমিনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কংগ্রেসের ঘোষণা:
ভারতের অখন্ড জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দরকার ছিল। তাই স্বাধীনতার আগেই গান্ধি ও নেহরু ঘোষণা করে দেন, কোনো দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন অস্তিত্ব স্বীকার করা হবে না। ভারত বা পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনো একটি রাষ্ট্রে রাজ্যগুলিকে যোগ দিতে হবে।
সমস্যা উদ্ভব:
স্বাধীনতার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ দেশীয় রাজ্য "ভারত ভুক্তির দলিল"-এ সই করে দেয়। তবে জুনাগড়, কাশ্মীর এবং হায়দ্রাবাদ নিজেদের স্বাধীন অস্তিত্ব বিসর্জন দিতে নারাজ হয়। ৮০শতাংশ হিন্দু থাকলেও জুনাগড়ের নবাব পাকিস্তানে যোগ দিতে চান। হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীরেও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
সমাধানঃ
শেষ পর্যন্ত গণভোটে জুনাগড় ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। হায়দ্রাবাদে সেনা অভিযান চালিয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন নেহরু। ১৯৪৮ সালে কাশ্মীর ভারত ভুক্ত হয়।
মূল্যায়ন:
দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বল্লবভাই প্যাটেলের দৃঢ়নীতি স্বরাষ্ট্র সচিব ভি.পি. মেননের কূটনীতি বিশেষ ভূমিকা নেয়।