বারদৌলি সত্যাগ্রহ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
ভূমিকা :
গুজরাটের সুরাট জেলার অন্তর্গত বারদৌলি তালুক। এখানকার কালিপরাজ শ্রেণিভূক্ত কৃষকরা ছিল উচ্চবর্ণের জমি মালিকদের শোষণের শিকার। খাজনা বন্ধের দাবিতে ১৯২৮ সালে এখানকার কৃষকরা বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে অহিংস সত্যাগ্রহ সামিল হন, এটাই বারদৌলি সত্যাগ্রহ।
আন্দোলনের কারণ:
১৯২৫ সালে ভয়ানক বন্যার কারণে বারদৌলি এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তা সত্ত্বেও বোম্বাই সরকার তুলো চাষিদের ২২ শতাংশ হারে খাজনা বৃদ্ধি করে। এর প্রতিবাদে প্যাটেলের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনের বিস্তারঃ
বারদৌলি তালুকে ১৩টি অঞ্চলে ভাগ করে ১৩জন নেতাকে আন্দোলনের দায়িত্ব দেন প্যাটেল। মেয়ে- পুরুষ সকলে আন্দোলনে যোগ দেন। নরহরি পারিখ, রবিশঙ্কর ব্যাস ছাড়াও মিঠুবেন প্যাটেল, মণিবেন প্যাটেল, শারদা মেহতা আন্দোলন সক্রিয় ভূমিকা নেন। গান্ধিজিও বারদৌলিতে এসে নেতৃত্ব দানের অঙ্গীকার করেন। দৈনিক 'সত্যাগ্রহ' পত্রিকায় প্রচার চালানো হয়। আন্দোলন জাতীয় গুরুত্ব পায়।
পরিণতি:
শেষপর্যন্ত ম্যাক্সওয়েল ব্লুমফিল্ড তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এরপর মাত্র ৬.০৩ শতাংশ খাজনা বৃদ্ধি ঘোষণা করলে কৃষকরা খুশি হয়। সত্যাগ্রহ সফল হয়।