অলিন্দ যুদ্ব/বিনয়-বাদল-দীনেশ স্মরণীয় কেন?

 ১৯২৮ খ্রি. সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে গঠিত বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত। কার্যাবলী: বিনয় বসু ১৯৩০ খ্রি. বাংলার পুলিশ ইন্সপেক্টর লেম্যানকে হত্যা করেন। এরপর বিনয় বসু বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করে কারারক্ষী সিম্পসনকে হত্যা করেন। এই ঘটনা অলিন্দযুক্ত নামে খ্যাত।

পরাজয়: 

সরকারি বাহিনীর প্রবল আক্রমণে সত্ত্বেও বিনয়-বাদল-দীনেশ প্রবল বীরত্বে লড়াই চালিয়ে যান। পিঠে লাগা গুলি উপেক্ষা করে দীনেশ বীরত্বের সঙ্গে লড়াই চালান। কিন্তু শীঘ্রই তাঁদের গুলি শেষ হয়ে গেলে তাঁরা সংকটের মুখে পড়েন।

ফলাফল: 

বাদল পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা এড়াতে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। বিনয ও দীনেশ গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বিনয় হাসপাতালে মারা যায়, দীনেশের ১৯৩১ খ্রি. ফাঁসি হয়। প্রিয় জন্মভূমির মুক্তির জন্য বিনয়-বাদল-দীনেশ মৃত্যুভয়কে জয় করে হয়ে উঠেছিলেন মৃত্যুঞ্জয়ী।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
×