অতীতকে স্মরণ করার ক্ষেত্রে কিংবদন্তি বা মিথ এবং স্মৃতিকথার ভূমিকা আলোচনা করো।
সূচনা
অতীত স্মরণ করার ক্ষেত্রে মিথ বা কিংবদন্তির অবদান :
বিশ্ব জনীনতা
সময়কাল নির্ণয়ে
ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহে কিংবদন্তির মাধ্যমে উঠে আসা কাহিনিগুলিকে ঐতিহাসিক উপাদানের সূত্র হিসেবে ধরা হয়। যেমন-মিথের কাহিনির সূত্র ধরেই আধুনিক ঐতিহাসিকগণ ট্রয় নগরী, বা ট্রয়ের যুদ্ধের স্থান নির্ণয় করেছেন। আবার ভারতে প্রচলিত মৌর্য সম্রাট অশোক, রানি দুর্গাবতী, মীরাবাঈ-এর বীরত্বের কাহিনি জাতীয় বীরের মর্যাদায় তাঁদের উন্নীত করে। এসবই জানা যায় কিংবদন্তি থেকে।
অতীত স্মরণে স্মৃতিকথার ভূমিকা:
বাস্তবভিত্তিক ধারণা
স্মৃতিকথা কোনো কাল্পনিক ঘটনা নয়, এর বাস্তব ভিত্তি অনেক বেশি। ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার সময়ে উদ্বাস্তুদের জীবনযন্ত্রণার মর্মস্পর্শী সত্য বহু মানুষের স্মৃতিকথা থেকে জানা যায়।
নির্দিষ্ট স্থান ও কালের ধারণা
বেশিরভাগ সময় স্মৃতিকথা থেকে নির্দিষ্ট স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। কোনো ব্যক্তির স্মৃতিচারণায় তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিফলন দেখা যায়।
ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহ
ইতিহাস রচনার অন্যতম উপাদান হলো স্মৃতিকথায় কোনো আঞ্চলিক ইতিহাস বা তথ্যের অভাব দেখা দিলে স্মৃতিকথাগুলি সহায়ক উপাদানের ভূমিকা পালন করে।
নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের জীবনী
স্মৃতিকথা থেকে কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের বা সাধারণ মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়। স্মৃতিকথায় কোনো ঘটনা অতিরঞ্জন করে দেখানো হয় না।
মন্তব্য
সামগ্রিক আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায়, মিথ এবং স্মৃতিকথা প্রাচীন যুগের ইতিহাস তথা যেকোনো অতীত ঘটনা সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই বলা যায়, অতীতকে বুঝতে ও জানতে মিথ বা স্মৃতিকথার গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না।