শিকার কবিতার সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর। উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা।
উচ্চ মাধ্যমিক শিকার কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
ক) ঘাস ফড়িংএর দেহ
খ) সুমদ্রের জল
গ) বিকেলের রোদ
ঘ) মোমের আলো
উত্তর :- ঘাস ফড়িং এর দেহ
২) " টিয়া পালকের মতো সবুজ" ছিল ?
ক) মানুষের হৃদয়
খ) মানুষের স্বপ্ন
গ) পেয়ারা ও নোনার গাছ
ঘ) পেয়ারা ও সজিনার গাছ
উত্তর :- পেয়ারা ও নোনার গাছ
৩) " এক্ষণ আকাশে রয়েছে " - যার কথা বলা হয়েছে ?
ক) একটি তারা
খ) একটি পাখি
গ) দিনের আলো
ঘ) গোধূলির রং
উত্তর :- একটি তারা
৪) " শিকার " কবিতায় যে মেয়ে টিকে কবি পারাগায়ে লক্ষ্য করেছিলেন সে ছিল |
ক) সাহসী সুন্দরী
খ) গোধুলিমদির
গ) মায়াবিনী
ঘ) বিষণ্ণ সুন্দর
উত্তর :- গোধুলিমদির
৫) সারা রাত মাঠে / আগুন জ্বেলেছে - কারা আগুন জ্বেলেছে ?
ক) প্রবাসীরা
খ) অতিথিবৃন্দ
গ) দেশোয়ালিরা
ঘ) বনবাসিরা
উত্তর:- প্রবাসীরা
৬) " সূর্যের আলোয় তার রং মতো নেই আর ..."
ক) কুসুমের
খ) বারুদের মতো
গ) কুঙ্কুমের
ঘ) মুক্তার
উত্তর :- কুঙ্কুমের
৭) ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছিল
ক) চারিদিকের বন ও আকাশ
খ) জোনাকির দল
গ) মনের আকাশ
ঘ) হৃদয়ের কবিতামালা
উত্তর : - চারিদিকের বন ও আকাশ
৮) সারারাত হরিণ নিজেকে বাঁচিয়েছিল যার হাত থেকে
ক) শিকারির
খ) চিতাবাঘিনির
গ) হৃদয়হিনের
ঘ) পশুদের
উত্তর :- চিত্তাৰাঘিনির
১) সারা রাত হরিণটি ঘুরেছিলক) শাল-পিয়ালের বনে
খ) অর্জুন - সুন্দরীর বনে
গ) মহুয়ার বনে
ঘ) জাম জারুলের বনে
উত্তর :- অর্জুন - সুন্দরীর বনে
১০) সুন্দর বাদামি হরিণ যার জন্য অপেক্ষা করেছিল
ক) অন্ধকারের জন্য
খ) সবুজ ঘাসের জন্য
গ) ঝরনার জলের জন্য
ঘ) ভোরের জন্য
উত্তর :- ভোরের জন্য
১১) সবুজ সুগন্ধি ঘাস কে কবি যার সঙ্গে তুলনা করেছেন
ক) নতুন ধানের সঙ্গে
খ) শরতের সকালের সঙ্গে
গ) কচি বাতাবি লেবুর সঙ্গে
ঘ) রূপসী মেয়ের সঙ্গে
উত্তর :- কচি বাতাবি লেবুর সঙ্গে
১২) হরিণ টি ভোরের আলোয় যেখানে নেমেছিল
ক) জলে
খ) নদীর জলে
গ) অন্ধকারের সমুদ্রে
ঘ) অর্জুন - সুন্দরীর বনে -
উত্তর :- নদীর জলে
১৩) " নদীর জল – মতো লাল | "
ক) মোরগ ফুলেরপাপরির
খ) জবা ফুলেরপাপরির
গ) মচকাফুলের পাপড়ি
ঘ) নারীর পায়ের আলতার
উত্তর :- মচকাফুলের পাপড়ি
১৪) " শিকার " কবিতাটি শুরু হয়েছে যে শব্দ দিয়ে
ক) সকাল
খ) ভোর
গ) বিকাল
ঘ) সন্ধ্যা
উত্তর :- ভোর
১৫) টেরিকাটা মানুষেরা খায়
ক) বিড়ি
খ) আঙ্গুর
গ) পেয়ারা
ঘ) সিগারেট
উত্তর : সিগারেট
১৬) শিকার কবিতাটি কোন কাব্য গ্রন্থের অন্তগত
ক) মহাপৃথিবী
খ) ধানক্ষেত
গ) শেষ লেখা
ঘ) অঙ্গুরী তোর হিরন জল
উত্তর :- মহাপৃথিবী
(১৮) নদীর জলে নামা হরিণের শরীর ছিল
ক) ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল
খ) বিহ্বল ক্লান্ত ঘুমহীন
গ) গবিহ্বল ক্লান্ত
ঘ) ক্লান্ত ঘুমহীন বিহ্বল
উত্তর :- ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল
১৯) " হিমের রাতে শরীর' উম' রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারা রাত মাঠে
ক) গান করেছে
খ) নাচ করেছে
গ) খেলায় মেতেছে
ঘ) আগুন জ্বেলেছে
উত্তর :- আগুন জ্বেলেছে
২০) ' এক্ষণ ও আকাশে রয়েছে ' ক-টি তারা ?
ক) একটি
(খ) দুটি
গ) তিনটি
ঘ) বহু
উত্তর :- একটি
২১) ' একটা অদ্ভুত শব্দ ' | কিসের শব্দ ?
ক) চিতা বাঘিনির
খ) হৃদয়ের বির্দিন ইচ্ছার
গ) সুগন্ধি ঘাস ছিড়ে খাওয়ার
ঘ) বন্দুকের
উত্তর :- বন্দুকের
২২) " টেরি কাটা কয়েকটা মানুষের মাথা |” এরা হলো
(ক) পুলিশ
(খ) ডাকাত
গ) সৈন্য
ঘ) শিকারি
উত্তর:- শিকারি
উচ্চ মাধ্যমিক শিকার কবিতার SAQ প্রশ্ন ও উত্তর
১. একটি তারা এখন ঘাসে রয়েছে- তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ তারাটিকে কবি পাড়াগাঁর বাসরঘরে সবচেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২. তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও' – তারাটিকে দেখে কবির কী কী মনে হয়েছে?
উত্তরঃ তারাটিকে দেখে কবির মনে হয়েছে পাড়াগাঁর বাসরঘরে সবচেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির মতো কিংবা হাজার হাজার বছর আগের মিশরীয় মানুষী যে তার বুকের থেকে কবির নীল মদের গ্লাসে মুক্ত রেখেছিল তার মতো
৩. “মোরগফুলের মতো লাল আগুন” – এখানে কোন আগুনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ প্রশ্নে প্রদত্ত অংশে “মোরগফুলের মতো লাল আগুন” বলে দেশোয়ালিরা হিমের রাতে মাঠে যে আগুন জ্বলেছিল, তার কথা বলা হয়েছে।
৪. ‘সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে' – খাওয়ার কারণ কী বলে মনে হয়?
উত্তরঃ 'শিকার' কবিতায় বর্ণিত হরিণটি সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছুটে বেরিয়ে ভীষণ ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিল। সেই ক্লান্তি ও ক্ষুদা মেটানোর জন্য হরিণটি সবুজ ঘাস খাচ্ছিল।
৫. সোনার বর্ষার মতো জেগে উঠে হরিণটি কী করতে চেয়েছিল?
উত্তরঃ সারারাত চিতাবাঘটির হাত থেকে আত্মরক্ষা করার চেষ্টায় সফল হয়ে হরিণটি বিজয়ীর উল্লাসে সোনার বর্ষার মতো জেগে উঠে সাহসে সাধে সৌন্দর্যে একের পর এক হরিণীকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।
৬. ‘শিকার' কবিতায় কোন দুটি ফুলের উল্লেখ আমরা পাই?
উত্তরঃ 'শিকার' কবিতায় আমার যে দুটি ফুলের উল্লেখ পাই সেগুলি হল- 'মোরগফুল' ও ‘মচকাফুল’|
৭. ‘টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা' -এই মানুষ কারা?
উত্তরঃ ‘টেরিকাটা” মানুষগুলো নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত ভোগী মানুষদের প্রতীক | তারা নির্বিচারে সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠে।
৮. ‘নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল -সে নদীতে কেন নামল?
উত্তরঃ চিতাবাঘিনির অতর্কিত আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য ক্রমাগত ছুটে বেড়ানোর হরিণটি তার ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে প্রাণবন্ত আবেশ দেওয়ার জন্য নদীতে নামল |
৯. 'এখনও আগুন জ্বলছে তাদের কাদের আগুন কেন জ্বলছে?
উত্তরঃ হিমের রাতে শরীর ‘উমা রাখার জন্য দেশোয়ালিরা যে আগুন জ্বেলেছিল, তা এখনও জ্বলছে। শুকনো অশ্বথপাতাগুলি এখনও পুড়ে ছাই হয়নি তাই আগুন ”এখনও” জ্বলছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিকার কবিতার বড়ো /৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
১. 'শিকার' কবিতায় ভোরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। সেই পরিবেশ কোন ঘটনায় করুণ হয়ে উঠনঃ ৩+২
অথবা, “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে”- কে, কীভাবে ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল? 'ভোরের আলোয় তার কী পরিণতি হয়েছিল নিজের ভাষায় লেখ।
অথবা, এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে – সেই ভোরের বর্ণনা দাও। 'সে' ভোরের আলোয় নেমে আসার পর কী কী ঘটল, লেখো। ৩+২
উত্তর- জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় নানা দৃশ্যপট রচনার মাধ্যমে কবি ডোবের পরিবেশ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। কবিতায় বর্ণিত ভোরের প্রথম দৃশ্যটি একটি অকৃত্রিম প্রাকৃতিক ভোর তখন আকাশের রং ঘাস ফড়িং-এর শরীরের মতো কোমল নীল। চারিদিকে পেয়ারা, নোনা প্রভৃতি গাছগাছালি। ভোরের আলো তখনও সম্পূর্ণ প্রকাশ পায়নি। তাই একটি তারা তখনও আকাশে ছিল। কবির কল্পনায় এই তারাটি কোন এক গ্রাম্য বধূর মতো অথবা সেই মুক্তার মতো যা মিশরের এক মানবী কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল। দেশোয়ালিরা শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য আগুন জ্বেলেছিল- মোরগ ফুলের মতো লাল সেই আগুন সূর্য ওঠা পর্যন্ত জ্বেলেছিল। সব মিলিয়ে কবি এমন এক ভোরের চিত্ররূপ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যেখানে প্রকৃতি ময়ুরের ডানার মতো ঝলমল করছে।
এরপর একটি হরিণের প্রসঙ্গ এসেছে। সারারাত অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম কবে হরিণটি ডোবের আলোয় নেমে এসেছে। প্রকৃতির মুক্ত কোলে নিজেকে নিরাপদ মনে করেই সে কখনো ঘাস দিড়ে খেয়েছে আবার কখনো নদীর ঠাণ্ডা জলে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। হঠাৎ একটি অদ্ভুত শব্দ সেই হরিণটিকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করে। কয়েকটি টেরিকাটা মানুষ নির্বিকারে সেই মাংস খায়।
এইভাবে একটি নিষ্পাপ হরিণের অকাল মৃত্যুতে ভোরের নির্মল পরিবেশ করুণ হয়ে উঠেছিল।
২. “এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।” কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল? 5+8
উত্তর- জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় একটি সুন্দর বাদামি হরিণ ভোবের জন্য অপেক্ষা করছিল। সে সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেদিন এই ভোবের জন্য। ভোরের আলোয় নেমে এসে সেই হরিণটি প্রথমে কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস খেতে শুরু করে। তারপর অনিদ্রাজনিত ক্লান্তি দূ করার জন্য সে নদীর তীক্ষ্ণ-শীতল ঢেউয়ে নামে। নিজের দেহমনে ভোবের বৌদ্রের মতো একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য' সে হিমশীতল জলে নিজেকে সঁপে দিয়েছিল।
আর সে এতকিছু করেছিল 'সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর প্রহরীকে চমক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু হরিণের ইচ্ছে পূরণ হয়নি। চোরা শিকারিদের অব্যর্থ নিশানায় হরিণটির স্বপ্নে ইতি টানা যায়।
‘একটা অদ্ভুত শব্দ' হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে যায়। জ্যান্ত হরিণ ততক্ষণে মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়ে গেছে। আগুন জ্বালানো হয় এবং উষ্ণ লাল হরিণের মাংস' প্রস্তুত হয়। আর এইভাবে, একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভোরের আলোয় নেমে এসে সুন্দর বাদামি হরিণটি মানুষের লালসার শিকার হয়েছিল।
৩. শিকার কবিতায় যে দুটি ভোরের উল্লেখ রয়েছে সেগুলির বর্ণনা দাও |
উত্তর- জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতাটিতে কবি দুটি ভোরের বর্ণনা দিয়েছেন। নানা দৃশ্যপট রচনার মাধ্যমে কবি উক্ত দুই ভোরের ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন । প্রথম ভোর কবিতায় বর্ণিত প্রথম ভোরটি একটি অকৃত্রিম প্রাকৃতিক ভোর| তখন আকাশের রং ঘাস ফড়িং-এর শরীরের মতো কোমল নীল | চারিদিকে পেয়ারা, নোনা প্রভৃতি গাছগাছালি। ভোরের আলো তখনও সম্পূর্ণ প্রকাশ পায়নি| তাই একটি তারা তখনও আকাশে ছিল। কবির কল্পনায় এই তারাটি কোন এক গ্রাম্য বধূর মতো অথবা সেই মুক্তার মতো যা মিশরের এক মানবী কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল। দেশোয়ালিরা শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য আগুন জ্বেলেছিল- মোরগ ফুলের
মতো লাল সেই আগুন সূর্য ওঠা পর্যন্ত জ্বেলেছিল | সব মিলিয়ে কবি এমন এক ভোরের চিত্ররূপ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যেখানে প্রকৃতি ময়ুরের ডানার মতো ঝলমল করছে। দ্বিতীয় ভোর— মানুষের লালসা কীভাবে প্রকৃতিকে কালিমালিপ্ত করছে তার বর্ণনা রয়েছে এই দ্বিতীয় ভোরে। সারারাত অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করে একটি হরিণ ভোরের আলোয় নেমে এসেছে। প্রকৃতির মুক্ত কোলে নিজেকে নিরাপদ মনে করেই হরিণটি কখনো ঘাস ছিড়ে খেয়েছে আবার কখনো নদীর ঠাণ্ডা জলে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। হঠাৎ একটি অদ্ভুত শব্দ সেই হরিণটিকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করে। কয়েকটি টেরিকাটা মানুষ নির্বিকারে সেই মাংস খায় ।ine Class এইভাবে জীবনানন্দীয় বর্ণনায় দুটি পৃথক ভোরের ছবি আমাদের সামনে ফুটে উঠেছে |
৪. “আগুন জ্বললো আবার” -কেন আগুন জ্বলেছিল? - "আবার" কথাটি যোগ করা হয়েছে কেন?
উত্তর- জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় উল্লেখিত দ্বিতীয় ভোরে এই আগুন জ্বলার বর্ণনা রয়েছে। এই আগুন জ্বলেছিল হরিণের মাংস রান্না করার জন্য। নগর সভ্যতার টেরিকাটা মানুষের দল একটি নিরপরাধ হরিণকে হত্যা করেই শান্ত হয়নি, সেটির মাংস রান্না করে উদরস্থ করতে চেয়েছিল। সেই জন্য এই আগুনের আয়োজন | কবির ভাষায়- 'উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এলো | কবিতার প্রথম ভোরের বর্ণনায় আগুন জ্বালানোর উল্লেখ ছিল। দেশোয়ালিরা শীতের রাতে শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য সেই আগুন জ্বেলেছিল, যে আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল | দ্বিতীয় ভোরের বর্ণনায় পুনরায় আগুন জ্বালার প্রসঙ্গ এসেছে বলেই ‘আবার' কথাটি যোগ করা হয়েছে | প্রথমবার যে আগুন জ্বালানো হয়েছিল সে আগুন প্রকৃতির প্রতিকুলতা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য, কিন্তু দ্বিতীয়বার যে আগুন জ্বলল তা মানুষের ধ্বংসলীলার প্রতীক | প্রকৃতির
কোলে নির্ভয়ে বসবাসকারী একটি হরিণকে হত্যা করে তার মাংস দিয়ে ভূরিভোজন করার উদ্দেশ্যে এই আগুন জ্বালা হয়েছিল| সেইজন্য প্রথম ভোরের বর্ণনায় কবি আগুনের রং বলেছিলেন লাল আর দ্বিতীয় ভোরের বর্ণনায় রান্না করা হরিণের মাংসটাকে লাল বলা হয়েছে। আসলে নাগরিক সভ্যতার মানুষগুলির লোভ আগুনের লেলিহান শিখার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।