"নানা রঙের দিন" নাটকের প্রশ্ন উত্তর। উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা।
১. ‘নানা রঙের দিন' নাটকের সূচনায় মঞ্চসজ্জার যে বর্ণনা আছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। নাটকটির নামকরণ কতখানি সার্থক – তা আলোচনা করো। ২+৩
উত্তরঃ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি অনবদ্য একাঙ্ক নাটক 'নানা রঙের দিন'। নাটকের শুরুতেই নাট্যকার স্বল্পকথায় মঞ্চসজ্জার বিবরণ দিয়েছেন এইভাবে- একটি পেশাদারি থিয়েটারের ফাঁকা মঞ্চ, পিছনের দেওয়ালে তখনো রাত্রে অভিনীত নাটকের দৃশ্যপট এবং চারিদিকে ছড়িয়ে ছিল নাটকে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি। মঞ্চের মাঝখানে একটি টুল ওল্টানো ছিল। মঞ্চ তখনো অন্ধকার ছিল, অর্থাৎ কোনো আলো জ্বলছিল না।
আলোচ্য নাটকের প্রধান চরিত্র বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। নাটকের অপর চরিত্র কালীনাথের সঙ্গে কথোপকথন প্রসঙ্গেই উঠে আসে রজনীবাবুর ফেলে আসা জীবনের নানা কথা। নানা বর্ণে চিত্রিত তার জীবনের ইতিকথাই এই নাটকের প্রধান বিষয়। বুর ফেলে আসা জীবনের নানা
রাঢ়বঙ্গের এক বনেদি ব্রাহ্মণ বংশের সন্তান রজনীবাবু প্রথম জীবনে পুলিশ ছিলেন। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে থিয়েটার জগতে নিয়ে এসেছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নাট্যজগতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। যুবা অভিনেতা রজনীকান্তের এই সব দিনগুলি ছিল রঙিন দীপ্তিতে উজ্জ্বল।
তার অভিনয় দেখেই একটি মেয়ে তার প্রেমে পড়েছিল, যদিও সেই প্রেম বিয়ে পর্যন্ত এগোয়নি। রজনীবাবুর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে সেইসব বিবর্ণ দিনের কথাগুলি।
এরপর তার বয়স বাড়তে থাকে। তিনি মূল চরিত্র ছেড়ে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। জীবনের পঁয়তাল্লিশটা বছর অভিনয় জগতে থেকে একসময় তিনি বুঝতে পারলেন যে, তার দিন শেষ হয়ে এসেছে। এইভাবে, আলোচ্য নাটকে রজনীবাবুর জীবনের নানা রঙের দিনগুলিই নাট্যরূপে উপস্থাপিত হয়েছে। তাই এই নামকরণ সম্পূর্ণ সার্থক হয়েছে।
2. ". ... প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।”- কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটেছিল বলে বক্তা মনে করেন? ১+৪
অথবা, “প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।”- কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটেছিল বলে বক্তা মনে করেন?
দিন ফুরিয়েছে।”-কে কোন প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেছেন ? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ কী ? (২+৩=৫)
অথবা, “আর জীবনে ভোর নেই,সকাল নেই, দুপুর নেই সন্ধ্যেওি ফুরিয়েছে-এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা।” বক্তা কে? কোন প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যধটি করেছেন তা আলোচনা কর। (১+৪=৫)
উত্তরঃ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'নানা রঙের দিন' নাটকে পেশাদারি থিয়েটারের প্রাক্তন অভিনেতা
রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজেই একথা বলেছেন।
রজনীবাবু একজন প্রতিভাবান অভিনেতা ছিলেন। অভিনয়কে ভালোবেসে পুলিশের চাকরি ছেড়ে তিনি থিয়েটারে ঢুকেছিলেন। অভিনেতা হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন। যখন তার বয়স কম ছিল তখন যেকোনো চরিত্র তিনি অনায়াসে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন এবং তার অভিনয়-স্পর্শে প্রতিটি চরিত্র নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ পেত। এভাবেই চলে যাচ্ছিল।
এমন সময় তার জীবনে একটি মেয়ের আবির্ভাব ঘটে। জনৈক বড়লোকের সুন্দরী মেয়ে রজনীবাবুর অভিনয় দেখে তার প্রেমে পড়েছিল। কিন্তু তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই সে বলেছিল “তুমি ওই থিয়েটার করা ছেড়ে দাও”। রজনীবাবু মেয়েটির শর্তে রাজি হননি এবং অভিনয় করাও ছাড়েন নি, বরং এরপর থেকে থিয়েটারকেই বেশি করে আঁকড়ে ধরেছেন।
ধ্রুবতারা করে থিয়েটারকে নিজের জীবনের ধ্রুবতারা করে, অভিনয় জগতে পঁয়তাল্লিশ বছর পথচলার পর তিনি বুঝতে পারেন, বার্ধক্য তাকে গ্রাস করেছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গলার কাজ নষ্ট হয়ে গেল, অভিনয়-দক্ষতাও কমে গেল। এতদিন তিনি নিজেকে নিয়ে ভাববার অবসর পাননি, যখন পিছন ফিরে দেখলেন তখন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। যে রজনীকান্তের 'ট্যালেন্ট' নিয়ে গুণীজন প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন, বয়সের ভারেই সেই 'প্রতিভার অপমৃত্যু ঘটেছিল।
৩. “অভিনেতা মানে একটা চাকর- একটা জোকার, একটা ক্লাউন৷ লোকেরা সারাদিন খেটেখুটে এলে তাদের আনন্দ দেওয়াই হল নাটক-ওয়ালাদের একমাত্র কর্তব্য।”- বক্তার কথার তাৎপর্য আলোচনা করো।
অথবা, “যারা বলে 'নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প”- তারা সব গাধা”- বক্তার এই উক্তির/মনোভাবের কারণ কী?
অথবা, ‘নানা রঙের দিন' নাটকে থিয়েটারের টিকিট কেনা খদ্দেরদের সম্পর্কে রজনীবাবুর কী মতামত এবং কেন?
অথবা, “তোমার ওই পাবলিক... কাউকে বিশ্বাস করিনা”- বিশ্বাস না করার কারণ কি?
উত্তরঃ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন' নাটকের প্রধান চরিত্র পেশাদারী থিয়েটারের প্রাক্তন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। থিয়েটারের সাধারণ দর্শক অর্থাৎ টিকিটকেনা খদ্দেরদের প্রতি তাঁর মনোভাব বিরূপ। রজনীবাবুর মতে, এই সমস্ত দর্শকদের চোখে “অভিনেতা মানে একটা চাকর- একটা জোকার, একটা ক্লাউন”। রজনীবাবুর এই মনোভাব আলোচ্য নাটকের প্রেক্ষিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
যখন তাঁর বয়স কম ছিল, একটি মেয়ে এসেছিল তাঁর জীবনে। তাঁর অভিনয় দেখে মেয়েটি নিজে থেকেই এসে আলাপ করেছিল। আলাপ থেকেই ঘনিষ্ঠতা এবং তারপর প্রেম। মেয়েটির সম্পর্কে রজনীবাবু যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। তিনি নিজের মতো করে অনেক স্বপ্ন সাজিয়েছিলেন তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে।
তারপর একদিন যখন বিয়ের প্রসঙ্গ এল, মেয়েটি তাঁর সমস্ত স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিল। মেয়েটি রজনীবাবুকে বিয়ে করতে রাজী ছিল কিন্তু তাঁর শর্ত ছিল- “তার আগে তুমি ওই থিয়েটার করা ছেড়ে দাও”। থিয়েটারের লোকের সঙ্গে মেয়েটি প্রেম করতে পেরেছিল কিন্তু তাঁকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। এই করুণ জীবন-অভিজ্ঞতা রজনীবাবুর জীবন-দর্শন পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল।
এই কারণেই থিয়েটারের টিকিটকেনা খদ্দের বা দর্শক সম্পর্কে অভিনেতা রজনীবাবুর এইরূপ মনোভাব। তারা থিয়েটারের লোকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করে, চা-টা খাওয়ায়, কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনোরকম সামাজিক সম্পর্ক স্বীকার করেনা। থিয়েটারের অভিনেতার সঙ্গে কেউ নিজের বোন বা মেয়ের বিয়েও দেবেনা বলে রজনীবাবু মনে করেন।
অভিনেতারা স্টেজে হ তিনি নিজের জীবন-অভিজ্ঞতা দিয়ে এই শিক্ষা পেয়েছেন যে, যতক্ষণ অভিনেতারা স্টেজে থাকেন ততক্ষণ কদর। তারপর যে যার ঘরে ফিরে যায়, তাদের কথা কেউ মনেও রাখে না।
৪. 'নানা রঙের দিন' নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি হল পেশাদারী নাট্যমঞ্চের প্রাক্তন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। নাটকের শুরুতে তাঁর স্বগতোক্তি এবং পরে কালীনাথ সেনের সঙ্গে কথোপকথনে তাঁর চরিত্রটি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।
রজনীবাবুর চরিত্রের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তাঁর থিয়েটার-প্রীতি। পুলিশ ইনসপেক্টরের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি থিয়েটারের জগতে প্রবেশ করেছিলেন। এমনকি থিয়েটারকে ভালোবেসে নিজের প্রেমকে বিসর্জন দিতে তিনি পিছুপা হননি।
অভিনেতা হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সফল। একসময় যখন বয়স কম ছিল তখন তাঁর অভিনয় সাধারণ মানুষ থেকে সংবাদপত্র- সকলের প্রশংসা পেয়েছিল। যে মেয়েটি তাঁর প্রেমে পড়েছিল সেও তাঁর অভিনয়েই মুগ্ধ হয়েছিল। এমনকি আটষট্টি বছর বয়সে দিলদারের ভুমিকায় অভিনয় করেও তিনি সাতবার ক্ল্যাপ পেয়েছেন।
শেকসপিয়ারের নাটক থেকে যেভাবে সংলাপ বলে গেছেন তা থেকে তাঁর নাট্যপ্রতিভার উৎকর্ষতা আন্দাজ করা যেতে পারে।
রামব্রিজকে তিন টাকা বকশিশ দেওয়ার ঘটনাটি তাঁর মহানুভবতার পরিচায়ক। তেমনি কালীনাথ সেনের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার যথেষ্ট ভদ্র ও মার্জিত।
সমগ্র নাটকে রজনীবাবু চরিত্রটির যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো তা হল তাঁর বিগত যৌবনের জন্য বিলাপ ও নিঃসঙ্গতাজনিত হাহাকার। কিন্তু নাটকের শেষে তিনিই কালীনাথকে বুঝিয়েছেন-“হ্যাঁ কালীনাথ, আমাদের দিন ফুরিয়েছে"। কালের অমোঘ নিয়মকে স্বীকার করার মধ্য দিয়ে চরিত্রটি মহত্তর স্তরে উন্নীত হয়েছে।
৫. "শিল্পকে যে মানুষ ভালোবেসেছে- তার বার্ধক্য নেই..." - মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখ।
উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার আন্তন চেখভের সোয়ান সং অবলম্বনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নানা রঙের দিন নাটকটি স্মৃতির পথ ধরে একজন অভিনেতা নিজের জীবনকে দেখার চেষ্টা করেছেন। নাটকের প্রধান চরিত্র বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় 68 বছর বয়সে এসে তার অভিনয় জীবনের চূড়ান্ত উত্থানকে স্মরণ করে দুঃখ অনুভব করেছেন।
বর্তমানে বয়সের কারণে রজনী বাবুকে দিলদারের মত গৌণ চরিত্রে অভিনয় করতে হচ্ছে। কিন্তু তার মনে এখনও ঔরঙ্গজেব সুজা বক্তিয়ার এসকল উজ্জ্বল চরিত্রের দীপ্তি স্পষ্ট। শূন্য। দীপ্তি স্পষ্ট। শূন্য প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে প্রোমোটার কালিনাথ সেনকে সামনে রেখে সেই সকল চরিত্রের উক্তি আজ তিনি অনায়াসে অভিনয় করতে পারেন।
এই কারনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় মনে করেছেন যার প্রতিভা আছে বয়স তার কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এই অভিনয় কে ভালোবাসতে গিয়ে তার একমাত্র ভালবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে গিয়েছে। জীবনের শেষ পর্বে দাঁড়িয়ে মানুষটির নিঃসঙ্গ একা তবুও অভিনয় কে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছেন। সম্রাট শাহজাহান যেমন শেষ জীবনে সমস্ত অলংকার এর বাইরে থেকে একা একা জীবন যাপন করেছিলেন ঠিক তার অবস্থাও একই রকম। তবুও রজনীকান্ত বাবু বয়সকে মেনে নিলেও শিল্পকে চূড়ান্ত সত্য বলে ঘোষণা।
করেছেন - শিল্পকে যে মানুষ ভালোবেসেছে তার বাধ্যক্য নেই। কারণ শিল্পীসত্তা থাকে হৃদয়ে বয়স সেখানে ছাপ ফেলতে পারেনা।
৬. নানা রঙের দিন নাটকের প্রম্পটার কলিনাথ সেনের চরিত্র আলোচনা করো।
উত্তরঃ নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদিত নাটক নানা রঙের দিন এ 60 বছরের কাছাকাছি একটি চরিত্র হলো কালিনাথ সেন। গভীর রাতে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যখন নেশার ঘোরে মত্ত হয়ে একা মঞ্চে পাগলের মত বকে চলেছেন ঠিক তখনই ময়লা পাজামা পরা কালো চাদর গায়ে এলোমেলো চুলের কালিনাথ সেনের প্রবেশ ঘটে।
নিজস্ব বাসস্থানহীন কালিনাথ এর ব্যক্তিগত জীবনে রজনীকান্তের মত দুঃখের। কিন্তু সারা জীবনের সমস্ত হতাশা, না পাওয়া, আক্ষেপের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। এখানেই হয়তো এই চরিত্র দুটির মধ্যে পার্থক্য। গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে যখন রজনীকান্তের গলায় হতাশার সুর বেজে উঠেছে, তখন কালিনাথ বাবু থাকে পুরনো দিনগুলোর কথা মনে না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কালিনাথ সেন আসলে নাট্যমঞ্চের একজন প্রম্পটার, তিনিও নাটককে জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তার ভালোবাসার কারণেই অনেক সহজেই রজনী বাবুর সঙ্গে তিনি মঞ্চের উপর উঠে নাটকের সংলাপ দক্ষতার সাথে অভিনয় করে তুলেছিলেন।
কালিনাথ সেনের চরিত্রে এক মানবিকতার লক্ষণ ফুটে উঠেছে। অবসাদগ্রস্ত রজনীকান্তের অবস্থা বুঝতে পেরে তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এমনকি গভীর রাতে রজনী বাবুকে সে বাড়ি পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। রজনী বাবুকে অতি শ্রদ্ধা সহকারে ভালোবাসতেন তা আমরা বুঝতে পারি। নানা রঙের দিন নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য কালিনাথ সেনের এই পার্শ্ব চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।