টীকা: ইলবার্ট বিল। অথবা ইলবার্ট বিল কী?
ভূমিকাঃ
ভারত প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার বৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে বিচার বিভাগে ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের সমমর্যাদা দানের উদ্দেশ্যে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সূচিত হল ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত।
ইলবার্ট বিল কী:
পূর্বে কোন ভারতীয় বিচারক ইউরোপীয় আসামীর বিচার করতে পারত না। বড় লাট রিপনের পরামর্শে তাঁর আইন সচিব কোর্টনে ইলবার্ট এই অসাম্য দূর করার জন্য একটি বিল রচনা করেন। ইলবার্টের নামানুসারে এই বিলটি ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। ইলবার্ট বিল আন্দোলন: এই বিলের বিরুদ্ধে ইংরেজদের ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করে আন্দোলন শুরু করে। বিলটি যাতে আইনে পরিণত না হয় তার সকল প্রচেষ্টা ইংরেজরা করে।
ইলবার্ট বিলের গুরুত্বঃ
(1) ইলবার্ট বিল আন্দোলন জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ভিত রচনা করতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে।
(2) ইলবার্ট বিল আন্দোলন থেকে ভারতীয়রা সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
(3) এই আন্দোলনের ফলে ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের মধ্যে জাতি বৈরিতা বৃদ্ধি পায়।
(4) ইংরেজরা যে তাদের সামান্য স্বার্থক ছাড়তে রাজি নয়, তা ভারতীয়রা বুঝতে পারে।
(5) ভারতে জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়।
উপসংহার:
ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার যর্থাথই বলেছেন, ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতিতে ইলবার্ট বিলের মুখ্য ভূমিকা ছিল। ঐতিহাসিক এস. গোপাল The Vicaroyaltry Of Lord Ripon গ্রন্থে ইলবার্ট বিল আন্দোলনকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উষাকাল বলেছেন।