madhyamik: সিরাজ উদদৌলা নাটকের বড় প্রশ্ন ।Class 10.

 আপনাদের কাছে এই ভিক্ষা যে , আমাকে শুধু এই আশ্বাস দিন ' — কাদের কাছে বক্তা ' ভিক্ষা চান ? তিনি কী আশ্বাস প্রত্যাশা করেন ?

 প্রসিদ্ধ নাট্যলেখক শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি ‘ সিরাজদ্দৌলা ’ থেকে প্রশ্নে দেওয়া মন্তব্যটি নেওয়া হয়েছে । বাংলার নবাব সিরাজ - উদদৌলা রাজ্যের সকল প্রধান প্রধান সেনাপতি , আমির - ওমরাহ অর্থাৎ মীরজাফর , জগৎশেঠ , রায়দুর্লভ , রাজবল্লভ , মীরমদন , মোহনলাল — সকলের কাছে ভিক্ষা চান ।

 সিরাজের বাংলার মসনদে বসার পনেরো মাস তখনও অতিক্রান্ত হয়নি । অথচ মসনদপ্রাপ্তির কারণেই ঘরে - বাইরে তাঁকে নানা প্রতিরোধে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়তে হয় । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন- মসনদ নিয়ে যে ঘরোয়া কোন্দল , তা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় ; যতটা গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজ দমন । ইংরেজরা সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য যে সৈন্য সমাবেশ করছে , তা ওয়াটসনের পত্রে প্রমাণিত । নবাব বিচক্ষণ বলেই অনুভব করতে পেরেছিলেন , এদেশে বিষ নিঃশ্বাস ছড়াচ্ছে ইংরেজরা । তারা তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছে তাঁর দরবার পর্যন্ত । তাঁর মনে হয়েছিল বাংলার উপরে ঘনিয়ে আসছে ঘোর দুর্দিন । নবাব নিঃসংশয়ে অনুভব করেছিলেন বাংলা রক্ষা করতে হবে সর্বাগ্রে । তাই সিপাহসালার মীরজাফর ও তার ছায়াসঙ্গী ষড়যন্ত্রকারীদেরও তিনি একজোট করতে চেয়েছিলেন । বাংলার দুর্দিনে হিন্দু - মুসলমান সমস্ত তাঁর পাশে থেকে তাকে বাংলার মানমর্যাদা রক্ষায় সাহায্য করবেন এই আশ্বাস করেছিলেন সিরাজ । আলোচ্য উদ্ভিটি তারই পরিচয় দিয়েছে । 

জাতির সৌভাগ্য সূর্য আজ অস্তাচলগামী ; -বক্তার এই উত্তির তাৎপর্য  বিশ্লেষণ করো । 


নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ' সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশে প্রশ্নোদৃত উদ্ভিটির বক্তা নাট্যাংশের নামচরিত তথা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ - উদদৌলা ।

 নবাব সিরাউদ্দৌলার মাত্র পনেরো মাসের নবাবত্বে কেবল যুদ্ধ করেছেন , ষড়যন্ত্র ভেন করেছেন , গুপ্তর পরিচালনা করেছেন । তিনি নিঃসংশয়ে অনুভব করেছেন দেশ ও জাতির স্বরূপ । তাই আত্মরক্ষার চেয়ে দেশরক্ষার প্রশ্ন তাঁর কাছে বড়ো হয়ে ওঠে । জাতির স্বাধীনতাকে তিনি দেখতে চেয়েছেন । বাংলার মানুষের জন্য তাঁর প্রাণ কেঁদেছে । জাতির স্বাধীনতাকেই নবাব জাতির সৌভাগ্য বলে বিবেচনা করেছেন । তাঁর মনে হয়েছে , এ বস্তু পরম । এ ধরে রাখা যেমন কষ্টসাধ্য , তেমনই এ হারানোর যন্ত্রণাও মরণাধিক শোকদায়ক । কলকাতায় ইংরেজ সে ক্রমে ক্রমে সৈন্যসমাবেশ করেছে । ক্রমে তারা উন্নত হয়ে নবাবকে অস্বীকার করে নিজেদের পরিদর্শন করেছে । এ যে রাজক্ষমতা দখলেরই নামান্তর তা নবাব বুঝেছিলেন । অন্যদিকে নবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মীরজাফর - জগৎশেঠ - রাজবল্লভ রায়দুর্লভদের দল ক্ষুদ্র এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তারা সমগ্র জনজাতি তথা দেশের ক্ষতিসাধন করতে উদ্যত । তাই নবাবের মনে হয়েছে দেশ বিপন্ন । যে - কোনো সময় কোম্পানির ফৌজ আক্রমণ করতে পারে । জাতির স্বাধীনতা - সূর্য অস্তাচলে যেতে পারে ।

 ' তাঁর আদেশে হাসিমুখেই মৃত্যুকে বরণ করব ।'- কার আদেশের কথা বলা হয়েছে ? এই উক্তির আলোকে বক্তার মহানুভবতার যে পরিচয় পাওয়া যায় , তা ব্যাখ্যা করো । 

 নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ' সিরাজদ্দৌলা ' নাট্যাংশে বক্তার এই উক্তির মধ্যে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ - উদদৌলার সিপাহসালার মীরজাফরের আদেশের কথা বলা হয়েছে । 

উদ্ধৃত উক্তির বক্তা মীরমদন নবাব সিরাজ - উদদৌলার সেই সকল মুষ্টিমেয় কর্মচারীদের মধ্যে একজন , যাঁরা শেষপর্যন্ত নবাবের বিশ্বস্ত ছিলেন । পাঠ্য নাট্যাংশের সীমিত পরিসরে তাকে । নবাবের হয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় । নিম্নপদস্থ কর্মচারী হয়েও উচ্চপদস্থ মীরজাফরের বিরুদ্ধে তিনি মুখর হন নবাবের অপমান সহ্য করতে পারেননি বলে । আবার তার কিছু পরেই যখন মীরজাফর নবাব সিরাজ - উদদৌলার পক্ষ নিয়ে ইংরেজের বিরুদ্ধে হাতিয়ার ধরার অঙ্গীকার করেন , তখন মীরমদন মীরজাফরকে ষড়যন্ত্রকারী জেনেও তাঁর আদেশে হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করার শপথ করেন । মীরমদনের এই আচরণে নবাবের প্রতি তাঁর অসীম আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার পরিচয় পাওয়া যায় । .

সিরাজউদ্দৌলা নাটক


আর ও পড়ুন ঃ দশম শ্রেণির কোনি উপন্যাসের সমস্ত বড় প্রশ্ন ।


 ‘ ওখানে কী দেখছ মূর্খ , বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো ।'— উদ্ধৃতাংশের বক্ত কাকে ' মূর্খ' বলে সম্বোধন করেছেন ? তার এমন বিরূপ মন্তব্যের কারণ কী ? 

  নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ? রচিত ' সিরাজদ্দৌলা ' নাট্যাংশে উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন নবাব সিরাজ - উদদৌলার মাসি ঘসেটি বেগম । তিনি সিরাজের উদ্দেশে ' মূর্খ ' সম্বোধন করেছেন । 

নবাব আলিবর্দি খাঁ - র মৃত্যুর পরে বাংলার সিংহাসনের অধিকার নিয়ে যে বিবাদ শুরু হয় , তার মূলে ছিলেন ঘসেটি বেগম । নিঃসন্তান ঘসেটি তাঁর পালিত পুত্র শওকতজঙ্গকে সিংহাসনে বসানোর পরিকল্পনা করেন । কিন্তু তার বোনের পুত্র সিরাজ - উদদৌলা নিজবলে সিংহাসন অধিকার করলে নিজের মতিঝিল প্রাসাদে বসে নবাববিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হন ঘসেটি । এই সংবাদ পেয়ে সিরাজ মতিঝিল প্রাসাদ অধিকার করে ঘসেটি বেগমকে নিজের প্রাসাদে নজরবন্দি করেন । এতে আরো বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তিনি ইংরেজ ও স্বদেশীয় চক্রান্তকারীদের সঙ্গে হাত মেলান । সিরাজের পতন ও মৃত্যুই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় । তাঁর জীবনের সকল দুর্ভাগ্যের জন্য তিনি সিরাজকেই দায়ী করেন । তাই তাঁর বক্তব্যে বিরূপতা ফুটে বেরোচ্ছিল ।

 ' এই মুহূর্তে তুমি আমার দরবার ত্যাগ করো । ' কাকে দরবার ত্যাগ করতে বলা হয়েছে । তার দরবার ত্যাগ করার পিছনে যে কারণ আছে -- তা বিশ্লেষণ করো । 

 প্রখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘ সিরাজদৌল্লা ' নাট্যাংশে মুরশিদাবাদের নবাব সিরাজ - উদদৌলা দরবারে উপস্থিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে দরবার ত্যাগ করতে বলেছেন । 

ভারতে ইংরেজদের বণিক রূপটি ছিল ছদ্মবেশ । ভারতকে উপনিবেশে পরিণত করতে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বোনে । ছলেবলে কৌশলে দখল করতে চায় ক্ষমতা । কলকাতাকে তারা ঘাঁটি বানায় । ক্রমে শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করে । নবাবের দরবার এমনকি অন্দরমহলে পর্যন্ত তারা ছড়িয়ে দেয় ষড়যন্ত্রের বিষ । 

ইংরেজ অভিপ্রায় দমন করতে সিরাজ কলকাতা জয় করেন । সিরাজ ও কোম্পানির মধ্যে সন্ধির শর্ত রক্ষার প্রতিভূ করে ওয়াটস্‌কে মুরশিদাবাদে রাখা হয় । কিন্তু দেখা যায় , দুরাত্মা ইংরেজ তারই মারফত বাংলা দখলের মতলব করছে । ঘটনাচক্রে ওয়াটস্‌কে লেখা অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের গোপনপত্র এবং ওয়াটস্ - এর জবাবিপত্র নবাবের হস্তগত হয় । ষড়যন্ত্রের গভীর রূপটি আবিষ্কার করে নবাব চমকে ওঠেন । ওয়াটসন সৈন্যসমাবেশ ঘটিয়ে বাংলায় এমন আগুন জ্বালাতে চান , যা কিনা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়েও নেভানো যাবে না । নবাব লক্ষ করেন ওয়াটস্ তাঁর দরবারে বসে তাঁরই বিরুদ্ধে তাঁর সভাসদদের প্ররোচিত করছে । তার জবাবিপত্রে ছিল সেই নিশানাই — ‘ নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব । চন্দননগর আক্রমণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ । ' এদিকে ফরাসি প্রতিনিধি মসিয়ে লা - ও ইংরেজ আগ্রাসনের প্রতিবিধান চেয়ে তাঁর দরবারেই উপস্থিত । অতএব ইংরেজের আস্পর্ষা , ঔদ্ধত্য ও দূরভিসন্ধি দেখে ক্ষুদ্ধ নবাব ওয়াটস কে দরবার ত্যাগ করার নির্দেশ জ্ঞাপন করেন ।

  ' তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত ।'— বক্তা কে ? তাঁর এই লজ্জার কারণ কী ? ১ + ৩ = ৪ 

 বিশিষ্টতম নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ' সিরাজদৌলা ' নাট্যাংশে প্রশ্নোবৃত উক্তিটির বক্তা , নাট্যাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র তথা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ - উদ্‌দৌলা । 

নবাব সিরাজ - উদ্‌দৌলা বাংলাদেশে বাণিজ্য করতে আসা ফরাসি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি মাসিয়ে লা - র কাছে লজ্জা প্রকাশ করেছেন । বাংলাদেশে বাণিজ্য করার অনুমতি ব্রিটিশ ও ফরাসি উভয় জাতির কাছেই ছিল , যদিও তাদের কিছু শর্ত মেনে চলতে হত । ফরাসিরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সেই সকল শর্ত মেনে ও নবাবকে খুশি রেখেই বাণিজ্য চালাচ্ছিল । কিন্তু তাদের নিজেদের দেশে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ফ্রান্সের যুদ্ধের জেরে ব্রিটিশরা নবাবকে না জানিয়েই বাংলাদেশে ফরাসিদের ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণ করে । সমস্ত ফরাসি বাণিজ্য কুঠির উপর তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে তারা ব্যস্ত হয়ে ওঠে । এই অবস্থায় ফরাসিরা নবাব সিরাজ - উদদৌলার কাছে সুবিচার প্রত্যাশা করে আবেদন জানায় । কিন্তু সেই সময় ব্রিটিশের সঙ্গে সম্মুখ বিবাদে অবতীর্ণ হওয়ার মতো অর্থবল ও লোকবল নবাবের ছিল না । তাই ফরাসিদের সাহায্য করতে না পারার হতাশা থেকেই তিনি লজ্জাবোধ করেন।


আর ও পড়ুন ঃ সমুদ্রস্রোতের প্রভাব গুলি আলোচনা করো?

' বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা ।'- বক্তা কে ? বক্তার এমন ধারণা হওয়ার কারণ কি?

' সিরাজদৌলা ' নাট্যাংশের উল্লিখিত অংশটির বক্তা নবাব সিরাজদ্দৌলা স্বয়ং ।

 নবাব সিরাজদ্দৌলা তার দরবারে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ , যেমন --- জগৎ শেঠ,রাজা রাজবল্লভ,রায় দুর্লভ প্রমুখের সামনে মন্তব্যটি করেন । নবাৰ কোলকাতা দুর্গ পুনর্গল করার পরে ইংরেজরা তাদের সৈন্যশক্তিকে সংহত করে নেয় । তারা নবাবের অনুমতির তোয়াক্কা না করে চন্দননগর দখল করে নেয় । কাশিমবাজারের দিকে ইংরেজ অভিযানের প্রস্তুতিও প্রায় শুরু হয়ে যায় । সব মিলিয়ে নবাবের দৃষ্টিতে বাংলার জন্য তা ছিল এক দুর্দিন । তার পাশাপাশি ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে নবাব পাচ্ছিলেন প্রত্যক্ষ বিরোধিতা । তাঁর সিপাহিসালার মীরজাফর এমনও বলেছিলেন , “ আপনি যদি মানী লোকের এইরূপ অপমান করেন , তাহলে আপনার স্বপক্ষে কখনো অস্ত্র ধারণ করব না । " মীরজাফর , জগৎ শেঠদের বাংলা দুর্দিনে এক হয়ে চলার কথা বললেও সে বিষয়ে সিরাজ নিজেই সংশয়ে ছিলেন ' সব মিলিয়ে দেশের সামনে মহাবিপদ উপস্থিত হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তিনি এই বক্তব্য রেখেছিলেন । 

' সিরাজদ্দৌলা ' নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজদ্দৌলার চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো ।

  শ্যীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ' সিরাজদ্দৌলা ' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র সিরাজ শুধুমাত্র একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন । সেই সময়ের ঐতিহাসিক নাটকের চরিত্রগুলিতে নাট্যকার সমকালীন দেশাত্মবোধের মোড়কে দেশের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখাতেন সিরাজ তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব । সিরাজ চরিত্রের যেসব দিকগুলি এখানে ধরা পড়েছে সেগুলি হল

 প্রথমত , নবাব সিরাজদ্দৌলা বুঝেছিলেন যে , তাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই যেমন ষড়যন্ত্র করছেন । তেমনি নেতা হিসেবে তাঁরও অনেক ত্রুটি আছে । তাই সবার সামনে কোনো দ্বিধা না করে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেছেন । সিরাজের এই আত্মসমালোচনা তাঁকে নেতা হিসেবে মহান করেছে । 

দ্বিতীয়ত , সিরাজ এই নাট্যাংশে কিছুটা দুর্বলচিত্তের । নবাব হিসেবে যা যথাযথ নয় । অন্যায় , চক্রান্ত , ষড়যন্ত্র সব বুঝতে পেরেও তিনি প্রতিবাদ করতে পারেন না । তাদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থাও নিতে পারেন না । এমনকি শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নেন যে , ঘসেটির অভিযোগের প্রতিবাদ করতে পারেন না শুধু তিনি কঠোর নন বলে । এটি চরিত্রের নেতিবাচক দিক 

তৃতীয়ত , নাট্যকার সর্বোপরি সিরাজকে নবাবের ঊর্ধ্বেও একজন দেশপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরেছেন । তিনি নিজের বিপদকে , নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকে এবং ইংরেজ চক্রান্তকেও বাংলায় বিপর্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন । এমনকি বাংলার দুর্যোগ দূর করার জন্য তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বা তাদের সঙ্গে সন্ধি করতেও পিছপা হননি ।

 চতুর্থত , সর্বোপরি দেশামাতৃকাকে স্বাধীন করে রাখতে তিনি হিন্দু - মুসলমানের মিলিত প্রতিরোধের কথা তুলে ধরেছেন । সাম্প্রদায়িকতাকে ভুলে মিলিত প্রতিরোধ করলেই ব্রিটিশ শক্তিকে রোধ করা সম্ভব । এই দৃষ্টান্ত সমকালীন হয়েও চিরকালীন । সবশেষে বলা যায় , এই নাট্যাংশে সিরাজ নানা উন্নত চারিত্রিক গুণের অধিকারী হয়েও , ট্র্যাজিক নায়ক । চরম পরিণতি যেন তাঁর নিজের বিভিন্ন উক্তিতেই প্রকাশ পেয়েছে । 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
×