কারিগরি শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের অবদান কী?
ভূমিকা:
স্বদেশি আন্দোলনের যুগে যে সকল মনীষী বাংলায় কারিগরি শিক্ষার প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন তারকানাথ পালিত, তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯০৬ খ্রিঃ ২৫শে জুলাই কলকাতায় বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট নামে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়।
সমন্বয়:
বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ ১৯১০ খ্রিঃ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের সঙ্গে মিশে যায়। এই প্রতিষ্ঠান ১৯২৪ খ্রিঃ যাদবপুরে স্থানান্তরিত হয় এবং ১৯২৮ খ্রিঃ-এর নতুন নাম হয় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বা (CET)।
শিক্ষাদান:
উভয় প্রতিষ্ঠান মিশে যাওয়ায় এখানে কলা বিজ্ঞানের পাশাপাশি পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন প্রযুক্তি, শিল্প প্রযুক্তি প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা হয়। বাংলার বহু শিক্ষিত যুবক এখান থেকে কারিগরি বিদ্যালাভ করে স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে।
জার্নাল:
এখানকার ছাত্রছাত্রীরা 'টেক' নামে একটি 'জার্নাল' প্রকাশ করেন। এই জার্নালের প্রথম সংখ্যাটি তাঁরা স্বদেশি আন্দোলনের যুগের সেই সকল আত্মত্যাগীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন, যারা জাতীয় শিক্ষার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
উপসংহারঃ
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালে ১৯৫৫ খ্রিঃ এটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয় এবং এখান থেকে পাস করে বহু বাঙালি যুবক কারিগরি বিদ্যার বিভিন্ন শাখায় নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।