বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস চর্চার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

ভূমিকাঃ 

মানুষের সভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। মিশর, ব্যাবিলন, গ্রিস, চিন, ভারত প্রভৃতি সব প্রাচীন সভ্যতায় বিজ্ঞান চর্চা, প্রযুক্তি বিদ্যার অনুশীলন এবং চিকিৎসাকর্মের অস্তিত্ব ছিল।

বৈশিষ্ট্য:

 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রেও যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, তাই এই প্রকার ইতিহাস চর্চার অন্যতম উদ্দেশ্য। মানব সভ্যতার ইতিহাসে চাকা ও আগুনের আবিস্কারের সময় থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত সময়ের বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রসস্ত্র, যন্ত্রপাতি ও তাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ইতিহাসকে চিহ্নিত করা। তাই চাকার আবিস্কার থেকে মঙ্গলগ্রহ অভিযান পর্যন্ত প্রযুক্তির উদ্ভব ও বিবর্তন হল বিজ্ঞান প্রযুক্তি ইতিহাসের পরিধি, অপরদিকে শারীরবিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতিকে ও উপস্থাপিত করা যায়। সুতরাং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার পরিবর্তন কীভাবে মানব সমাজ ও সাংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক ও চিকিৎসার ক্ষেত্রকে কীভাবে শক্তিশালী করে তুলেছে, তা আলোচনাই হল এই ধরণের ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য।

ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা: 

১৯৬২ তে প্রকাশিত টমাস কুহন রচিত 'দ্য স্ট্রাকচার অব সায়েন্টিফিক রেভোলিউশন' বিজ্ঞানের ইতিহাসের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী গ্রন্থ। ভারতে তথা বাংলায় যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল তারা হল-বেঙ্গল কেমিক্যালস্, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েন ফর দি ক্যালটিভেশন অফ সায়েন্স, বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, বসু বিজ্ঞান মন্দির, সরকারি উদ্যোগে তৈরী কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা সি. এস. আই. আর প্রভৃতি সংস্থা।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
×