ইন্টার নেটের ভালো-মন্দ (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

আসসালামুআলাইকুম, সবাই কেমন আছো আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আজকের আমরা আলোচনা করব কয়েকটি সংলাপ রচনা নিয়ে। আমরা সকলে জানি মাধ্যমিক ৫ নম্বরে একটি সংলাপ লিখতে, যেটা খুব সহজ। নিচের সংলাপ গুলি ভালো করে পড়ে নিজে নিজে লেখা প্রাকটিস করো। যদি তুমি বার বার সংলাপ লেখা প্রাকটিস করো তাহলে যেকোনো ট্রপিকের সংলাপ লিখতে পারবে।  
মাধ্যমিক সংলাপ রচনা

 ইন্টার নেটের ভালো-মন্দ (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

আলিঃ কালকে আমার কাকু একটা স্মার্ট ফোন কিনে এনেছে, জানিস আনিস। গোটা সন্ধ্যে ওটা নিয়ে পড়েছিলাম। নেট থেকে কতো যে গান আর গেম ডাউন লোড করেছি।

আনিসঃ হ্যাঁ, আমিও মায়েরটা নিয়ে মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করি ভারি অদ্ভুত জিনিস এই ইন্টারনেট। কত রকম সাইট- খেলা, গান, সিনেমা, খবর, তথ্য, আমোদ, বিনোদন কি-যে নেই!

আলি: ঠিক বলেছিল, যেন একটা গোলক ধাঁধা। কালকেই আমার মনে হচ্ছিল।

আনিস: গোলক ধাঁধাই বটে। ভালো বলেছিস। পথ হারানোর সম্ভাবনা যেমন আছে।

আলি: তেমনই দিশা ঠিক থাকলে কোনো ভয় নেই।

আনিস: একদম তাই! সেদিনই তো আমি ইউটিউবে কয়েকটা ভিডিও দেখে সায়েন্সের প্রোজেক্টটা নিজেই তৈরি করে ফেলেছি, কাউকে কিছুই জিজ্ঞেস করতে হয়নি।

আলি: ইউটিউবে ও সবও আছে নাকি?

আনিসঃ আছে বৈকি! সায়েন্স, ইতিহাস, ভূগোল, যে কেনো বিষয়ের ওপর বিভিন্ন ধরণের সাই আছে। জানার বা শেখার কতো রকম পদ্ধতি।

আলি: এতটা তো জানতাম না।

আনিস: তুই প্রথম পেয়েছিস তো! আগে আমিও জানতাম না। মা-বাবাই সব দেখিয়ে দিয়েছে। এখন আমি প্রয়োজনমতো আরও অনেক সাইট খুঁজে বের করেছি। তোকে সব দেখিয়ে দেবো।

আলি: নিশ্চয়ই। আসলে খেলা, মজা কিংবা আমোদের ঘোরটা কাটিয়ে উঠতে পারাটাই জরুরি।

আনিস: জানিস তো ইন্টারনেটে প্রতি মূহূর্তে বিশ্বের যাবতীয় তথ্য ভরে দেওয়া হচ্ছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, গণিত, পরিবেশ- পৃথিবী কিংবা মহাকাশের সাম্প্রতিকতম কোনো গবেষণাই বাদ নেই।

আলিঃ প্রয়োজন এই বিপুল সম্ভাবনাকে নিজের সচেতনতা অনুযায়ী কাজে লাগানো।

আনিস: হ্যাঁ, ওই যে বসছিলি না, ওটাই এই গোলক ধাঁধায় ঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার চাবিকাটি।

নারী স্বাধীনতা বা আজকের মেয়েরা কতটা স্বাধীন (এই নিয়ে দুই ছাত্রীর মধ্যে সংলাপ)

রেজিনা: তুই বড়ো হয়ে কী হতে চাস সালমা?

সালমা: কী হতে চাই? স্বাবলম্বী আর স্বনির্ভর হতে চাই।

রেজিনা: আমিও সেই স্বপ্নটাই দেখি রে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, ম্যানেজার কিংবা শিক্ষিকা সেটা তো ব্যক্তিগত বিষয় নির্বাচন কিংবা পছন্দ-অপছন্দের ওপর নির্ভর করবে।

সালমাঃ কিন্তু, যাই করি নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে, তাই না?

রেজিনা: একদম তাই। এখন মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে, যে কোনো পেশায় তারা পুরুষদের মতোই স্বচ্ছন্দও সফল হতে পারে।

সালমাঃ অবশ্যই। আর এই পরিস্থিতিটা মেয়েরা নিজেরাই যোগ্যতা অর্জন করেছে।`

রেজিনা: শুধু তাই নয়। ঘরে ও বাইরে অর্থাৎ সাংসারিক দায় দায়িত্ব পালন করেও কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা আশ্চর্য রকমের পারদর্শী।

সালমা: ভারতের তিনটে সবচেয়ে বড়ো রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকের সর্বভারতীয় কর্ণধার হলেন এখন তিনজন মহিলা। ভাবলেই কেমন গর্ববোধ হয়?

রেজিনা: এভাবেই তো পরিস্থিতিটা বদলাচ্ছে। শিক্ষায়, সাহিত্যে, বিজ্ঞানে, চিকিৎসায় নানান পেশায়, কোথায় না মেয়েরা শিখর স্পর্শ করেনি বলতো?

সালমাঃ আমরাও তাদেরই প্রতিনিধ। তাই একবিংশ শতক যেন সমস্ত নারীর স্বাধীনতা শতক হয়ে উঠতে পারে। আমাদের সেই স্বপ্ন সফল করতে হবে।

রেজিনা: সেই পথে প্রাথমিক পদক্ষেপটাই হল শিক্ষা স্বনির্ভরতা এবং আর্থিক স্বাবলম্বন, কী বল? সালমা: আমি তোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।

ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ

অজয়: মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়বি?

বিজয়: আমি বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়ব। তুই।

অজয়: আমি বাংলা নিয়ে পড়ব।

বিজয়: দ্যাখ, আমার বাড়ির সবাই চায় আমি ডাক্তার হই।

অজয়: তুই নিজে কী চাস?

বিজয়: আমার খুব জার্নালিজম নিয়ে পড়ার ইচ্ছা। বড়ো হয়ে সাংবাদিকতা করব। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছা-অনিচ্ছাটাও তো একটা ব্যাপার।

অজয়: বাবা-মাকে বোঝা-তোর স্বপ্নের কথা জানা।

বিজয়: হ্যাঁ, দেখি, তবে, সাংবাদিকতা একটা রোমাঞ্চকর পেশা। সামাজিক দায়বদ্ধতার সাথে সাথে কাঁজের বৈচিত্র্যও রয়েছে।

অজয়: একদম ঠিক, তবে তুই স্বপ্নটাকে মুছে ফেলিস না। ডাক্তার না হলে জীবন শেষ হয়ে যায় না। আমার সাহিত্য বড়ো ভালো লাগে। আমি লেখক হতে চাই।

অজয়: ছাড়, ওসব কথা, আগে মাধ্যমিকটা তো ভালো ফল করি।

বিজয়: নিশ্চয়ই

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
×